ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে (নগই) দরজা আটকিয়ে জামালপুরের বাম্বু বান্ডেলিংয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আব্দুল্লাহ আল ইমরানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

পিডির অভিযোগ, গত রোববার নগই-এ তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে স্থানীয় ঠিকাদারের লোকজন তাঁকে এ মারধর করেন। এ বিষয়ে তিনি দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি অফিসকক্ষে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এ সময় হাড়কান্দি মহল্লার নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধা তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে দরজার ছিটকিনি আটকে দেন এবং তাঁকে কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। 'বাম্বু বান্ডেলিংয়ের টেন্ডার তাদের কেন দেওয়া হলো না' বলতে বলতে তারা মারধর করেন। এ সময় সহকর্মীরা দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে হামলাকারীরা ছিটকিনি খুলে পালিয়ে যান।

পিডি ইমরান বলেন, বাম্বু বান্ডেলিংয়ের কাজের টেন্ডারের ওপেনিং হয়েছে গত ১০ নভেম্বর। এখনও কাজ কেউ পায়নি। টেন্ডারের মূল্যায়ন কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁকে মারধরের ঘটনায় জড়িত নিয়াজ ও কাজল ফরিদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতিয়ার রহমানের কাজ দেখাশোনা করেন। এ ব্যাপারে তিনি ফরিদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।

কাউন্সিলর আতিয়ার বলেন, নিয়াজ ও কাজল এলাকার ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি তিনি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ কারণে এলাকার সবাই তাঁর লোক।

তিনি বলেন, ওই প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তাঁর সঙ্গে ওদের ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে শুনেছেন। ওই প্রকৌশলী ভালো লোক না। তিনি এলাকার লোকদের কাজ না দিয়ে সিন্ডিকেট করে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। বাইরের লোক কাজ করে এলাকায় টাকা নিয়ে যায়। তাই এলাকাবাসীর ক্ষোভ থাকতেই পারে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গাফফার জানান, থানায় প্রকৌশলী ইমরান বাদী হয়ে নিয়াজ শেখ ও কাজল মৃধার নাম উল্লেখ করে সরকারি কাজে বাধা ও অফিসকক্ষে ঢুকে মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।