বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘যারা খেলার নিয়ম কানুন জানেন না তাদের সঙ্গে বিএনপি খেলবে না। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো খেলা হবে না। সবকিছুর ফয়সালা হবে রাজপথে। যেদিন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়ন হবে, দিনের ভোট দিনে হবে, সেদিনই বিএনপি খেলবে। সেই খেলায় ব্যারিষ্টার জায়মা রহমানের কাছেও শেখ হাসিনা জামানত হারাবেন।’

বুধবার দুপুরে বরিশালে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘ভোটের পর আপনারা যদি দেশে শান্তিতে থাকতে চান তাহলে পাঁচার করা হাজার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রভান্ডারে ফিরিয়ে দিন। খালেদা জিয়ার প্রতি যে অন্যায়-অবিচার করেছেন সেজন্য বাসায় গিয়ে তার পা ধরে মাফ চান।’

দেশব্যাপী মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নগরের অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয় চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনোকুল ইসলাম টিপু। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক।

বিক্ষোভ সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের মানুষ একটি পটকার শব্দও শুনতে পায় না। কিন্ত একের পর এক বিস্ফোরণ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। পুলিশের লোকজন তাদের চাকরি রক্ষা ও পদোন্নতীর জন্য এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন। এর পরিণতি ভাল হবে না। পুলিশ কর্মকর্তারা এখন কোন থানায় পদায়ন থেকে এসব অপকর্ম করছেন নথি খুঁজে ভবিষ্যতে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে যে দরবেশ নিয়োগ করেছেন- তিনি সাচ্চা পাকিস্তানী দরবেশ। আমরা এই দরবেশ তাড়িয়ে দেশ বাঁচানোর জন্য লড়াই করছি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বসে থাকার জন্য সমাবেশ করবে না বিএনপি। মুক্তির লড়াইয়ে চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য রাজধানী দখল করতে হয়। মানুষ একদিন নিজেদের প্রয়োজনেই ঢাকায় উঠে যাবেন। এ জন্য কোনো দিন-তারিখের প্রয়োজন হবে না।’

সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহান, এবায়েদুল হক চাঁন ও মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল জেলা আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, উত্তর জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হয়দার বাবুল প্রমুখ।