- সারাদেশ
- ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ
পুলিশসহ আহত ২০

বুধবার বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হেলমেট পরিহিত ২০-২৫ জন যুবককে ১০-১২ মিনিট ধরে বিএনপির সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর করতে দেখা যায়। তবে পুলিশ বলছে, স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দলের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বিভাগীয় শহরগুলোতে বুধবার বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ ছিল। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের হামলা, পুলিশের গুলিতে বিএনপি নেতাকর্মী হতাহত এবং গায়েবী মামলার প্রতিবাদে তারা ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এ সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে মঞ্চে উপস্থিত বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল ছুঁড়ে ও ঘটনাস্থলে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে হেলমেট বাহিনী।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন না।
পুলিশ জানায়, বিএনপির দুই গ্রুপ মারামারি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা।
কোতয়ালী থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, বিএনপির সমাবেশ মঞ্চে হামলার ঘটনায় তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দায়ী। স্থানীয় বিএনপি শামা ওবায়েদ ও নায়ব ইউসুফ গ্রুপে বিভক্ত। এই হামলা সেই বিভক্তির কারণেই ঘটেছে।
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউসার আকন্দ বলেন, আমি সে সময় মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার কোনো ছেলে এই হামলা চালায়নি। অন্যরা হামলা করে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
হামলায় পণ্ড হয়ে যাওয়া সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামের বক্তব্য দেবার কথা ছিল।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত বিএনপির ১১জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। তার প্রতিবাদে গত চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে। আমরা দেখেছি তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবী মামলা দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তারা ফরিদপুরে প্রেসক্লাবে ককটেল ফাটিয়ে আমাদের লোকদের ধরপাকড় করেছে।
মন্তব্য করুন