বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বেসরকারি বিশ্বাসযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক। এক বছরের মধ্যে সেই ব্যাংক একেবারে ফাঁকা। যারা ব্যাংকটির উদ্যোক্তা, তারাও এখন এই ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিচ্ছেন।

বুধবার বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা এদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী আছে, পুলিশ আছে। কিন্তু টাকা থাকছে না। হাঁটতে হাঁটতে দেশ থেকে টাকা চলে যায়। এখন অবস্থা এমন যে, টাকার অভাবে বিদেশ থেকে চাল, তেল আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৫ বছর ক্ষমতায় আছেন, এর পরও খায়েশ মেটেনি? ১০ ডিসেম্বর যতো এগিয়ে আসছে, সরকারের মন ততো দুরু দুরু করছে। এই ডিসেম্বরেই বাংলাদেশিরা মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছিল। আর এই ডিসেম্বরেই বিএনপির কর্মীরা বিজয় পতাকা তুলে ধরবে, এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দুদু বলেন, আপনারা যখন দেখবেন- পার্টি ক্ষমতায় নেই, সরকারও নেই, তখন কোথায় যাবেন? তখন কী হবে?

তিনি বলেন, একজন কৃষক কষ্ট করে ফসল ফলান। অথচ ২৫ হাজার টাকার জন্য কৃষকদের জেলে দিয়েছেন। যারা হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে পাচার করছেন, তাদের বিচার করলেন না? এ কেমন বাংলাদেশ!

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন ও বিএনপি নেতা শেখ সাদীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মো. মুজিবর রহমান প্রমুখ।