গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২৫টি পরিবারের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনাও মানছেন না অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা।

সূত্র জানায়, গত ১৭ নভেম্বর মৌচাক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠুরিয়াচালার ওই সড়কে ইটের সোলিং শুরু করেন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মীরা। এতে বাধা দেন ওই গ্রামের মো. সিদ্দিক হোসেন, হযরত আলী ও আশরাফ আলী। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে সেখানে বাঁশ-কাঠের প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করেন। ফাঁকা জায়গায় ফেলা হয় কাঁটাযুক্ত গাছের ডাল।

বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল হাসেমকে জানান ওই পথ ব্যবহারকারী ২৫ পরিবারের সদস্যরা। তিনি বাধা সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও সিদ্দিক হোসেনের পক্ষ তা মানেননি। পরে তাঁদের হামলায় রাস্তা ব্যবহারকারীদের মধ্যে দাউদ শেখ, ইয়াকুব শেখ ও ইউনুস শেখ আহত হন। তাঁদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ইয়াকুব শেখ বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ করেন।

অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য মো. আকাশ মিয়া বলেন, '২৫টি পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রেখেছেন সিদ্দিক, আশরাফ ও হযরত আলী। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁরা সড়ক বন্ধ করে আমাদের চলাচলে বাধা দিয়েছেন। হামলাও চালিয়েছেন।'

হযরত আলীর ভাষ্য, তাঁর চাচা আশরাফ ও চাচাতো ভাই সিদ্দিক ওই ব্যক্তিদের কাছে তাঁদের জমি বিক্রি করেছেন। কিন্তু সড়কটি বিক্রি করেননি। তাঁদের জমির ওপর দিয়ে সড়ক গেছে। তা অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।

মৌচাক ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আবুল হাসেম বলেন, ঘটনা জানার পর ইউপি চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার তাঁদের ডাকেন। সেখানে বেড়া সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত তাঁরা মানেননি। উল্টো সেখানে টিনশেডের একটি ঘর তৈরি করে নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, 'আমি অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের সড়কটি খুলে দিতে অনুরোধ করেছি। তাঁরা কথা শোনেননি।'
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল আলম বলেন, তাঁরা থানা থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের জন্য দু-এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।