- সারাদেশ
- আ'লীগ নেতা হত্যার চার বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন
আ'লীগ নেতা হত্যার চার বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন

আদালত চত্বরে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিদের নামানো হচ্ছে। ছবি- সমকাল
রোববার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে দৈবজ্ঞহাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরও রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪২ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু আল ফকির, মো. হুমায়ুন হাওলাদার, মিল্টন খান, মো. মফিজ খান, মো. ফারুক হাওলাদার, আবুল হোসেন শেখ, মোদাচ্ছের শেখ, সুনীল দাস, বিশ্বনাথ ওরফে বিশ্ব প্রামাণিক, মো. লিয়ন শিকদার, সুব্রত কুমার সাহা ওরফে পল্টু, মেহেদী হাসান ওরফে রুবেল ফকির ও মো. মহি মোল্লা।রায়ের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রোমানা তানহা জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর সঙ্গে দৈবজ্ঞহাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর যুবলীগ কর্মী শুকুর শেখকে সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর আনছার আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। আনছার আলীর স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে একই দিন মারধর করে আহত করে।
দীর্ঘদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তিনি মারা যান। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর শুকুর শেখের ভাই শেখ ফারুক আহম্মদ মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। ২০১৯ সালের ৪ জুন তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেন।
মন্তব্য করুন