বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ঈশ্বর নারায়ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাবুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হান্নান মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। 

পুলিশ জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের কোনো নাম জানানো হয়নি।

এদিকে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মামলায় বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইসরাত হোসেন তালুকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় নামধারী আসামিরা সবাই বাবুগঞ্জ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দেহেরগতি ইউনিয়নের ঈশ্বর নারায়ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পরপর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এতে আশপাশের লোকজন অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

দেহেরগতি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল হাওলাদার জানান, গত ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের ভুতেরদিয়া গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতি হয়। এজন্য এলাকার লোকজনের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাত প্রতিরোধে করনীয় নির্ধারণ করতে তারা একটি বৈঠকের জন্য ঈশ্বর নারায়ণ বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়ে পৌঁছার আগে তারা পরপর দুটি বিকট শব্দ শুনে পান। পরে বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখেন শব্দগুলো ককটেল বিস্ফোরণের। বিস্ফোরণ স্থলে আরও তিনটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় দেখতে পান তারা।

 খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ থানার টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান এবং অবিস্ফোরিত ককটেল তিনটি জব্দ করেন। বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান শুক্রবার দুপুরে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঈশ্বর নারায়ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান। টহল পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এসআই হান্নান মিয়া বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।