দুবাই থেকে বড় ছেলে বাড়ি আসছেন তাই তাকে রিসিভ করতে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় যেতে শহরের ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে আসেন মাহবুবর রহমান (৬০)। শনিবার ভোর ৫টায় ঢাকায় আসবে বড় ছেলে। তাই আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টার বাসেই ঢাকায় যেতে চান তিনি। 

তবে মাহবুব রহমান বাস টার্মনালে এসে দেখেন যাত্রী কম। মানুষ বলাবলি করছে ঢাকায় কাল কি যেন হবে। এসব কথা শুনে বিদেশ থেকে ছেলে ফেরার আনন্দের মাঝেও একচিলতে আতঙ্ক দেখা দেয় তার চোখে-মুখে। তবুও বড় ছেলের টানে ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একতা পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মাহবুবর রহমান।

তিনি বলেন, জানি না ঢাকায় গিয়ে কোন দুভোর্গে পড়তে হয়, তারপরেও ছেলেকে আনতে যেতেই হবে।

অপরদিকে বাস টার্মিনালেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে ৪ যুবক বেশ খুশিমনে ঢাকায় বিএনপির গনসমাবেশে যাচ্ছেন একই কোচে।

যুবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকায়। তাদের মধ্যে একজন জানান, তারা সবাই যুবদল করেন। তাদের এলাকার যুবদল নেতা মোস্তাফিজার রহমান বৃহস্পতিবার গেছেন ঢাকায়। আজ তার কথাতেই তারাও আজ শুক্রবার ঢাকায় যাচ্ছেন।

আজ শুক্রবার বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীদের মধ্যে একই আলোচনা ঢাকায় কাল কি হবে? তবে বন্ধ নেই বাস চলাচল। কিন্তু স্বাভাবিক দিনের তুলনায় যাত্রী অনেক কম। টার্মিনাল চত্ত্বরে যাত্রীর অপেক্ষায় প্রায় এক ডজন বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী তেমন নেই।

একতা পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার টুটুল রহমান জানান, স্বাভাবিক নিয়েমেই প্রতিদিনের মতো বাস চলাচল করছে। মানুষের মধ্যে ঢাকায় কি হবে তা নিয়ে আলোচনা লেগেই আছে। যার কারণে সাধারণ যাত্রীরা ভয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন না। যারা যাচ্ছেন তারা কেউ বিএনপির লোক কেউ বা অতি প্রয়োজনে যাচ্ছেন। ফলে বাসগুলো অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা জানান, মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে প্রচুর নেতাকর্মী ঢাকায় গেছেন। যার কারনে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার চাপ কমে গেছে।