ময়মনসিংহের তারাকান্দায় এক কলেজ শিক্ষকের অনৈতিক কাজের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষকের এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সাত দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে নোটিশটি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, তারাকান্দা উপজেলার ফজলুল হক চৌধুরী মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত শাওন কিশোর ধর। তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। সম্প্রতি ভিডিওকলে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল (ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে) হয়। নৈতিক অবক্ষয়জনিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভিডিওতে শিক্ষককে শনাক্ত করা গেলেও অপর প্রান্তের নারীকে শনাক্ত করা যায়নি।

শোকজ নোটিশে বলা হয়, মহিলা কলেজের প্রভাষক হিসেবে এ রকম ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ছাত্রীর অভিভাবকরা অনেক ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। এতে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। অনেক অভিভাবক সন্তানদের মহিলা কলেজে ভর্তি করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এ রকম অনৈতিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমন অনৈতিক কাজের জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক শাওন কিশোর ধর বলেন, 'এই ভিডিওটি এডিট করা। এমন এডিট করা ভিডিও দিয়ে এলাকার আরও কয়েকজনকে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে ৪ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।' তিনি বলেন, 'যে বা যারা কুৎসা রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের (গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবে অগ্রসর হব। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এমনটি করছে। চক্রটি টাকা চেয়ে না পেয়ে এমনটি করেছে। শোকজ নোটিশ হাতে পাওয়ার পর জবাব দেওয়া হবে।'

ফজলুল হক চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হোছেন আলী চৌধুরী বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কিছু অভিভাবক মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। কলেজের শিক্ষক যদি এমন চরিত্রের অধিকারী হয়, তবে মেয়েদের নিয়ে শঙ্কা থাকে। বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও কলেজের শিক্ষক হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ওই শিক্ষক জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।