- সারাদেশ
- গুম বন্ধসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে
মানববন্ধনে বক্তারা
গুম বন্ধসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে

খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় - সমকাল
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ লক্ষ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সভা-সমাবেশে বাধা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ধরেনের নিবর্তনমূলক আইন বাতিল করা। মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও এর কর্মীদের হয়রানিসহ সব ধরণের অন্যায় অবিচারের অবসান ঘটাতে জনগণকে সংগঠিত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া সাধারণ জনগণের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকার' ও গুমের শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন 'মায়ের ডাক' খুলনা ইউনিটের পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় নগরীর শান্তিধাম মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধিকারের খুলনার ফোকাল পারসন ও সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান। এতে দিবসের ‘অধিকার’ ও ‘মায়ের ডাক’র বিবৃতি পড়ে শোনান ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা ও হয়রানির শিকার দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্য খুলনা মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ড. মো. জাকির হোসেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা ও হয়রানির শিকার এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনা জেলার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মো. মমিনুল ইসলাম, খুলনায় পুলিশ কর্তৃক দুই চোখ উপড়ে ফেলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. শাহজালাল হাওলাদার ও তার স্ত্রী রাহেলা বেগম, সাতক্ষীরায় গুমের শিকার হোমিও চিকিৎসক মোখলেসুর রহমান জনির বাবা মো. আব্দুর রাশেদ, বেনাপোলে গুমের শিকার কলেজছাত্র মো. রেজোয়ান হোসেনের ভাই মো. রিপন হোসেন ও মানবাধিকারকর্মী শেখ আব্দুল হালিম।
মন্তব্য করুন