কুষ্টিয়ায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হলেও মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। তিন দিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী। তাঁর বাবা বাদী হয়ে বুধবার হত্যা মামলা করেছেন বলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ওঠা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শহরের মজমপুর গেট এলাকার রাতুল আবাসিক হোটেলে গত রোববার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন সৌরভ বিশ্বাস জয়। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। তিনি রাজধানীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে তিনি স্ত্রী পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেন ওই যুবক। তবে আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। এর পর খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে মরদেহটি ওই তরুণীর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত তরুণীর বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুরে। তিনি খোকসার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা উদয় বিশ্বাস বলেন, গত রোববার সকালে কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় আমার মেয়ে। এর পর আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। তবে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাইনি। পরে শুনলাম তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হত্যা করেছে ওই যুবক।

ওসি দেলোয়ার বলেন, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। আবার হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাঁর মুখে ফেনা ছিল বলে জানা গেছে। সে হিসেবে বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।