আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রকৃতপক্ষে জনযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সেদিন জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ও প্রশিক্ষিত একটি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।’

বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।

মুক্তিযুদ্ধের পর বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করা সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ খেতাব প্রদান থেকে বঞ্চিত করায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই মানুষগুলোই রাতারাতি বোল পাল্টে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধ ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস দেশের অভ্যন্তরে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বিভিন্ন গেরিলা অপারেশনে অংশগ্রহণ ও তাদেরকে থাকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিল, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান কম নয়। কোনও মেজর বলে দিলো আর অমনিতেই মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে তা কিন্তু না। বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাঙালি যার যা কিছু আছে তা নিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে। সামরিক বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে তাদের চেয়ে সাধারণ মানুষ যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের অবদান বহুলাংশে বেশি ছিল।

সংগঠনের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও জসিম উদ্দিন শাহ'র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী।