'চট্টলবীর'খ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্মরণ করেছেন চট্টগ্রামের মানুষ। বৃহস্পতিবার ছিল এই আওয়ামী লীগ নেতার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এ নেতা চট্টগ্রামের স্বার্থ ও উন্নয়ন বিষয়ে আজীবন ছিলেন আপসহীন। এ জন্য জীবদ্দশায় অনেক সময় নিজ দলীয় সরকারের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে দেখা গেছে তাঁকে। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে থাকলেও সে সময় আলোচিত নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে 'চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন' নামে বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেন তিনি। দিনটি উপলক্ষে গতকাল চশমা হিলের কবরস্থানে তাঁর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।

মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মরণে চশমা হিল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০৫ সালে তৃতীয় দফা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনিভ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে। তাঁর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখন শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।