যশোরের চেম্বার অব কমার্স নির্বাচনের প্যানেল প্রধান আটক

জেলা বিএনপি নেতা ও যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খানকে আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপশহরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। একটি নাশকতা মামলায় আটক দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠানোর পর যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। 

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল প্রধান হিসেবে লড়ছেন মিজান। ওই প্যানেলের সদস্যদের অভিযোগ, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি একতরফা ফলাফল পক্ষে নিতে একটি মহল তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে আটক করিয়েছে। 

তবে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে আটক করা হয়নি। একটি নাশকতা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে।

মামলায় পুলিশ উল্লেখ করেছে, গত ৩ ডিসেম্বর সদরের রামনগর নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য কয়েকজন বোমা নিয়ে জড়ো হয়। সেখানে পুলিশ পৌঁছালে সবাই পালিয়ে যায়। এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মিজানুর রহমান খান। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় আটক করা হয়েছে।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ বছর ধরে যশোর চেম্বারে ভোট হয়নি। প্রশাসক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কারা এতোদিন নির্বাচন করতে দেয়নি তা ব্যবসায়ীরা ভালো করে জানেন। এবারও তারাই কলকাঠি নাড়িয়েছেন।

যশোর চেম্বারের নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে দু’টি প্যানেলে মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সাধারণে ৩৬ জন, সহযোগিতে ১৫ ও গ্রুপ সদস্য পদে জমা দিয়েছেন ২ জন। নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও যশোর ব্যবসায়ী ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ূন কবীর কবু।