কুয়াকাটায় ‘ঝিলিক’ আবাসিক হোটেল থেকে অজান্তা বেগম নামে এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই হোটেলের ২০৪ নম্বর রুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ভোর ৬টায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সুজন (৩২) ও অজান্তা বেগম (২৭) নামে এ দুই পর্যটক হোটেলে রুম ভাড়া নেয় এবং তারা হোটেল ২০৪ নম্বর রুমে ওঠেন। পরে সারাদিন তারা বাইরে ঘোরাঘুরি করে হোটেলে অবস্থান করেন।

স্বামী পরিচয় দেওয়া সুজন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শহরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেল রেজিষ্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।  

হোটেল ঝিলিকের মালিক মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘শনিবার সকাল ১০টায় হোটেলের চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু ফোনে সারা না পেয়ে রুমের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলে তাতেও কোনো সারা শব্দ পাওয়া যায়নি। রুম ভিতর থেকে আটকানো থাকায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন।    

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হোটেল থেকে নারী পর্যটকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তবে স্বামী পরিচয় প্রদানকারী সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওই রুম থেকে আলামত হিসেবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামা-কাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেলের রেজিষ্ট্রীকৃত নাম-ঠিকানার সূত্র ধরে তদন্ত করা হচ্ছে।