চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী মোহাম্মদ আল মামুন ফের আলোচনায় এসেছেন। ঘুষ নিয়ে দুটি ফিলিং স্টেশনে তিনি অবৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করেন- এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া স্বজনপ্রীতি, ঘুষ নিয়ে এক সহকারী প্রকৌশলীকে গৃহ এক্সটেনশনের নামে সরকারি অর্থ তছরুপ এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন এড়িয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আল মামুনের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এসব অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত নভেম্বরে চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য চেয়ে কেজিডিসিএলকে চিঠি দিয়েছে দুদক। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক রুহুল আমিনকে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দুদদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র চার মাস কেজিডিসিএলের এমডি থাকাকালে আল মামুন ঘুষ নিয়ে দুটি ফিলিং স্টেশনে অবৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ, বকেয়া বিল আদায় না করে একেএস স্টিলকে জাতীয় গ্রিড থেকে হট টেপিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দেওয়াসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

২০১৫ সালের গেজেট অনুসারে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, যা ২০১৯ সালের ১৫ মে পর্যন্ত বহাল ছিল। এ আদেশ না মেনে হাটহাজারীর মেসার্স আলাওল ফিলিং স্টেশন ও দৌলতপুরের মেসার্স ফোর স্টার ফিলিং স্টেশনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচলাইশে হোটেল নিরিবিলি, দক্ষিণ হালিশহরের এমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টসহ নগরের আরও চারটি হোটেলে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আলী মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, 'কেজিডিসিএলে মাত্র চার মাস দায়িত্বে ছিলাম। ওই সময়ে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করি। এ কারণে একটি চক্র আমার পেছনে লেগেছে।'
আল মামুন ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) হিসেবে দায়িত্ব পান। সেখানে দেড় বছর চাকরি করার পর অবসরে যান তিনি।