পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া দুই সন্তানের জননী ইয়াসমিন আক্তার ডলির(৩০) মৃত্যু রহস্যের জট খুলেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়ির পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত হাসিব তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হাসিব উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ছোনখোলা গ্রামের মনজু তালুকদারের ছেলে ।

পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত । পরে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে হত্যার করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় হাসিব।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর রাত তিনটার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন ডলি। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হাসিব গৃহবধূ ডলিকে মুখ চেপে ধরে বাথরুমে আটকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ডলি চিৎকার দিলে হাসিব বাথরুমের দেওয়ালের সাথে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ডলির মাথা ফেটে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর হাসিব ঘটনা ধামাচাপা দিতে ডলির নিথর দেহ পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর ডলির মৃতদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন। প্রথমে ডলি পানিতে ডুবে মারা গেছে এমন ধারণা করা হলেও তার শরীরে রক্তের দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং হাসিবকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসিব প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পড়ে স্বীকার করে কিভাবে ডলিকে হত্যা করা হয়েছে।

ওসি মো. জসীম আরও জানান, ইয়াসমিন আক্তার ডলিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী বনি আমিন হাসিব তালুকদারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় হাসিবকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে হাসিবকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।