রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের দুই প্রার্থীর পক্ষে মেরূকরণ চলছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকরা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রচার চালিয়ে জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে ফেলার চেষ্টায় আছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা নিজেদের ঘাঁটিতে ফসল ঘরে তোলার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। এবারের নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজের চাইতে প্রতীকই প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। প্রার্থীরা প্রতীক সামনে রেখে প্রচারে এগোচ্ছেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা গত পাঁচ বছর মেয়র ছিলেন। তাঁর আমলে সিটিতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে, সেসব তুলে ধরে ভোট চাইছেন তিনি। জাতীয় পার্টি মনে করে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে লাঙ্গল প্রতীকের বিজয়ের বিকল্প নেই। ১৯৯০ সাল থেকে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে রংপুর পরিচিত। মোস্তফা বলেন, রংপুরে দল আগের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই লাঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, সারাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগে সিটি করপোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, ছয় লেন সড়ক, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে উন্নয়ন হয়েছে। তবে যোগ্য প্রতিনিধি না থাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি রংপুর সিটি এলাকায়। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়াসহ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে নগরবাসী আর ভুল করবেন না। এবার মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তাঁরা।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৯ জন মেয়র প্রার্থীসহ ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৬৮ জন এবং ৩৩টি সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ১৮৩ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দু'জন থেকে পাঁচজন পর্যন্ত কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। ৩৩টি ওয়ার্ডে শতাধিক আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। নৌকা মার্কার প্রচারে তাঁরা অংশ নিতে পারছেন না। রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও তিন ভাগের এক ভাগ ওয়ার্ডে দল সমর্থিত কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী নেই। হাতে গোনা কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দিলেও তৃণমূলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কাজ করছেন লাঙ্গল মার্কার পক্ষে। তাঁদের মনোযোগ শুধু কাউন্সিলর নন, লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করা।
এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে চলছে ব্যাপক প্রচার। আওয়ামী লীগের ১১টি টিম উন্নয়নের সপক্ষে জনমত গঠনে মাঠে নেমেছে।