স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। পুলিশ বাহিনী বিশেষ বিশেষ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের বেলায় বেশি নজরদারি রাখে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় ঘাটতি হয়েছে বলে যেটা বলছেন, তা আমরা মনে করি না। কারণ সেখানে এমন কিছু হয়নি যার কারণে তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। ভুল বুঝাবুঝির কারণেই এমনটি হয়ে থাকতে পারে।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতের কাছে যারা গিয়েছিলেন তারা বিএনপির জিয়াউর রহমানের সময় গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যরা। তারা তাদের স্বজনদের গুম খুনের বিচারের দাবিতে সেখানে যান স্মারকলিপি দিতে। বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পুলিশকে আগে থেকে না জানানোর কারণে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানত না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের একটি আইন আছে, একটি সংবিধান আছে। যে সংবিধানকে ফলো করে আমরা চলছি। সেই সংবিধানের কোন জায়গাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা নেই। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন প্রশ্নই আসে না। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশবাসীর প্রত্যাশা করে, আমরাও সেটা চাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী বিরোধীদের মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। তবে আন্দোলনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতেও নেওয়া হবে।

এরপর জেলা পুলিশ লাইন্সে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। বিকেলে রাজশাহীর বানেশ্বর কলেজ মাঠে মাদক সন্ত্রাস বিরোধী আরেকটি সমাবেশে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।