বরগুনার বেতাগীতে সরকারি আবাসনের মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যের নাম মো. মনির সিকদার। তিনি সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে সিডর পরবর্তী সরকারী আবাসন নির্মাণ করা হয়। আবাসনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ওই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৫ দিন ধরে সেখানকার পুরানো টিন, লোহার এঙ্গেল ভেঙে আবাসনের জায়গায় জমা রাখা হয়।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদার ওইসব মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে লোকজনের অগোচরে মূল সড়ক দিয়ে না গিয়ে লক্ষীপুরা বাজারের গ্রামীণ সড়ক হয়ে বাকেরগঞ্জের বাসষ্ট্যান্ডের কাছের এনায়েত হোসেনের ভাঙারি দোকানে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরে বিষয়টি বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানো হয়।

সদর ইউনিয়নে ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল মৃধা ও কাউসার খন্দকার বলেন, ‘ইউপি সদস্য মনির সিকদার আবাসনের মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। দেখেতে পেয়ে আমরা তার পিছু নেই। পাশের বাকেরগঞ্জের এনায়েত হোসেনের ভাঙ্গারি দোকানে নিয়ে মালামালগুলো বিক্রি করতে যান। পরে আমারা বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই।’

এ ব্যাপারে জানতে সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্পটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সুূদ সালেহীন সমকালকে বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি সদস্যকে আবাসনের মালামাল ফেরত আনতে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।