গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কয়েকটি ইটভাটার জন্য কেটে নেওয়া হচ্ছে কৃষিজমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) ও খালের তীরের মাটি। অন্তত ২০টি ড্রাম ট্রাকে করে মাটি পরিবহন করায় মানুষের চলাচলের সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সড়ক, কৃষিজমির টপ সয়েল ও খালের তীরের মাটি রক্ষার দাবিতে ইউএনওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খানও।

আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের ইকুরিয়া কবিরের বাজার বেইলি ব্রিজ থেকে উত্তরের মাটিকাটায় চলাচলের ইটের সলিং সড়কটি মাটিবাহী ড্রাম ট্রাকের যাতায়াতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলেও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মাটিবাহী গাড়ির বিকট শব্দে রাতের বেলা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারেন না তাঁরা। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপে অনেকেই কৃষিজমির টপ সয়েল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। গত বছর খনন করা একটি খালের তীরের মাটিও কেটে নিচ্ছেন সংশ্নিষ্টরা। কেউ মাটি কাটতে ও সড়ক নষ্ট করতে বাধা দিলে রাতের বেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে সম্প্রতি স্থানীয়রা লিখিত আবেদন করেছেন।

স্থানীয় শিক্ষক হরিদাস সূত্রধর জানান, সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বাজার এলাকার তিনটি ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করতে একটি প্রভাবশালী মহল এলাকার কৃষিজমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি খাল ও সড়ক নষ্ট করছে। উপজেলায় আবেদন করায় ভূমিদস্যুরা তাঁদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে কড়িহাতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মোড়ল বলেন, এলাকার লোকজনকে নিয়ে তিনি বারবার মাটি কাটতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু প্রভাবশালী মহল তাদের কথায় কর্ণপাত করছেন না। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তিনি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছেন।