ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির প্রতিবাদ

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে  হয়রানির প্রতিবাদ

মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয় সমকাল

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২২:৫৪

মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রেদোয়ান গোলদারকে অস্ত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারকে চোরাচালান মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার তিন শতাধিক মানুষ রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। 
এর আগে শনিবার এ হয়রানিমূলক মামলা দুটি প্রতাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসহ গণস্বাক্ষর গ্রহণ করেন স্থানীয়রা। 
গতকাল সকালে শহরের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, এমাদুল হক খান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন আফজাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রমুখ। 
বক্তরা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ইন্ধনে থানার তৎকালীন ওসি অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে রেদোয়ান গোলদারকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন। পরে জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিলে প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তড়িঘড়ি করে সাজানো ওই অস্ত্র মামলার মাত্র ১০ দিনের মাথায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রেদোয়ানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। রেদোয়ান গোলদার ৮ নভেম্বর থেকে জেলহাজতে রয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তুষখালী গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান গোলদারের ছেলে। 
অন্যদিকে নির্বাচনের পর তুষখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদারকে চোরাকারবারি দেখিয়ে আসামি করে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। ২৫ জানুয়ারি রাতে থানার এসএই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন। ওই মামলায় শাহজাহান হাওলাদার জামিনে রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের এ সাজানো মামলা দুটি প্রত্যাহারের করা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান বক্তারা।
এ বিষয়ে কথা বলতে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও  সাড়া মেলেনি। তবে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আগের ওসির সময়ে রেদোয়ান গোলদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এটি চলমান প্রক্রিয়া। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

×