ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

১০ দিনেই পৃথিবীর রূঢ় বাস্তবতার মুখে

১০ দিনেই পৃথিবীর রূঢ় বাস্তবতার মুখে

প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জ (কাশিয়ানী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২৩:০০ | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪:৪০

কিশোরী মায়ের নাড়ি ছিঁড়ে পৃথিবীর আলোতে শিশুটি এসেছে ১০ দিন হলো। কিছু বুঝে ওঠার অনেক আগেই রূঢ় বাস্তবতার মুখে সে। তার পিতৃপরিচয় নিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক সালিশ হয়েছে। শনিবার রাতের ওই সালিশে উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের একটি গ্রামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কোনো সমাধানে আসতে পারেননি। এ জন্য দুই পক্ষকে তিন দিনের সময় দিয়েছেন।

শিশুটির কিশোরী (১৬) মায়ের অভিযোগ, একই গ্রামের এক তরুণ (১৮) তাঁর সন্তানের বাবা। তবে ওই তরুণ তা অস্বীকার করেন। যদিও বছরখানেক আগে ওই নারীর সঙ্গে কথা হতো বলে স্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পরে আর যোগাযোগ রাখেননি। 

মেয়েটির বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। গর্ভধারণের তথ্য তাঁর কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। শিশুর জন্মের পর জানতে পারেন। তাই গ্রামের মোড়লদের কাছে সমাধান চেয়েছিলেন। তারা দুই পক্ষকে তিন দিন সময় দিয়েছেন।

যে তরুণের সঙ্গে কিশোরীর সম্পর্ক থাকার অভিযোগ, তিনি পড়েন এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে। তিনি বলেন, মেয়েটি মাদ্রাসায় পড়ে বলে জানতেন। এক-দেড় বছর আগে কথা হয়েছিল। অন্য সম্পর্ক আছে সন্দেহে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাঁর বাবার ভাষ্য, ‘আমার ছেলে নির্দোষ। গ্রামে আমাদের অনেক শত্রু আছে। ফাঁসানোর জন্য এমন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয় মাতব্বর লিয়াকত শিকদারের সভাপতিত্বে গ্রামের এক বাড়িতে সালিশ হয় শনিবার। সেখানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমিনুর সরদার, সাবেক সদস্য ওমর আলী, ইনামুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। 

লিয়াকত শিকদার বলেন, তারা বিষয়টির মধ্যস্থতা করছেন। সবার চাওয়া ছেলে-মেয়ের পরিবারের মধ্যে যেন মিল হয়ে যায়। শিশুটির ভবিষ্যৎ যেন ভালো হয়, সে চেষ্টা করছেন। তবে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। যে কারণে দুই পক্ষকে তিন দিন সময় দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি বলে দাবি করেন রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিল্টন মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তবে এ রকম ঘটনা সত্যি ঘটে থাকলে খুব খারাপ হয়েছে।’ সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। প্রয়োজনে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করারও পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন

×