বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসা

বাউসা হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে গুঁড়ি ও চিরাই কাঠ সমকাল
আব্দুল লতিফ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী)
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২২:৪৭
মাঠের পশ্চিমে বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর উত্তরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কিশোর ও তরুণরা খেলাধুলা করে মাঠটিতে। এর একটি অংশ দখল করে
কাঠের বড় বড় গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন স মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাঘার বাউসা বাজারসংলগ্ন মাঠটিতে খেলাধুলায় ব্যাঘাত ঘটছে। কাগজে এটি বাউসা হারুন-অর-রশিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের।
জানা গেছে, বাউসা বাজারে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। যুগ যুগ ধরে খেলার মাঠ হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। সেই মাঠে কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন স মিল মালিক আবদুর রহিমসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা মাঠ ব্যবহার করে লাভবান হলেও খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ মাঠ থেকে দখলদার উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ এটি– এমন তথ্য জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাঠটিতে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। তবে এর ভেতরে ও তিন পাশে রাখা হয়েছে বড় বড় কাঠের গুঁড়ি। দুর্ঘটনা এড়াতে খেলোয়াড় এবং দর্শকরা বলার পরও মিলের মালিক ও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করছেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠটির বেশি কিছু অংশজুড়ে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। মিলে চিরাই করা কিছু কাঠও ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। এক পাশে খেলছে কিশোর ও তরুণরা। মাঠে কাঠ থাকায় সবুজ প্রকৃতি নষ্টসহ খেলাধুলার পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের।
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আশিকুর জামানসহ স্থানীয় অনেকে বলেছেন, ছোটবেলা থেকে এ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন খেলছেন তারা। তবে দখল করে কাঠ রাখায় এখন আর খেলাধুলা করা যায় না। কাঠের আঘাতে আহত হওয়ার ভয়ে থাকতে হয় সবার। তাদের দাবি, মাঠ থেকে কাঠ সরিয়ে নিয়ে খেলার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
বাউসা ফুটবল একাদশের পরিচালক তহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করে মাঠটিতে। এটি বহু আগে থেকে খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত। তবে এখন দখল করে কাঠের ব্যবসা করছে।
মাঠ দখল করে ব্যবসার কথা স্বীকার করে স মিল মালিক আবদুর রহিম বলেন, কিছু অংশ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন। প্রয়োজন হলে কাঠ সরিয়ে নেবেন। আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের ভাষ্য, পাশের একটি জায়গা লিজ নিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। সেই সুযোগে খেলার মাঠ ব্যবহার করেন। তাদের বলে কাঠ সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করতে কেউ অভিযোগ করেনি। তার পরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।