এক যুগ পর মোংলার ঠাকুর রানী খাল দখলমুক্ত হচ্ছে

মোংলার ঠাকুর রানী খালের আবর্জনা সরিয়ে ফেলছেন পৌরসভার কর্মীরাসমকাল
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪ | ২২:৩৭
দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মোংলার অধিকাংশ নদী, নালা ও খাল। ঠাকুর রানী খালও দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে দিন দিন সংকুচিত হয়ে ঐতিহ্যবাহী খালটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। বাজারকেন্দ্রিক ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দূষিত হচ্ছে পানি। বিভিন্ন স্থানে থাকা নালাও দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা।
প্রায় এক যুগ ধরে এ অবস্থায় থাকা ঠাকুর রানী খাল উদ্ধারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এর উদ্বোধন করেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান। জানা গেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র মাদ্রাসা সড়কের শুরুতে সরকারি রেকর্ডীয় ঠাকুর রানী খাল। শহরকে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় পাঁচ বছর আগে খালের শুরুতে স্লুইসগেট নির্মাণ করেছে।
এতে জোয়ারের পানির প্লাবন রোধ হলেও খাল প্রবহমান না থাকায় পলি পড়ে ভরাটের কারণে নাব্য হারিয়েছে। এ ছাড়া একশ্রেণির প্রভাবশালী খালের পাড়ের বড় অংশ দখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে খালসংলগ্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ময়লার দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির উৎপাতসহ পরিবেশ দূষণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এ অবস্থায় বন্দরনগরী মোংলা পৌর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গার্লস স্কুল এলাকা থেকে মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এতে শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, অভিযানের সময় অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় সরিয়ে নিতে দখলকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র। এর ব্যত্যয় ঘটলে পৌরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।