জমির আইল নিয়ে বৃদ্ধ চাচাকে পিটিয়ে জখম

.
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৪ | ২০:৩২
বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামে জমি দখল করে আইল নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধ চাচাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে চাচাত ভাতিজা মো. ছলেমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত মালেক হাওলাদারকে (৬৫) স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে ছলেমান ও সেকান্দার হাওলাদার তার চাচা মালেক হাওলাদারের মুগডাল চাষ করা জমি দখল করে আইল নির্মাণ করছিলেন। খবর পেয়ে বৃদ্ধ মালেক হাওলাদার জমিতে উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছলেমান ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচা মালেক হাওলাদারকে মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। মালেক মাটিতে লুটিয়ে চিৎকার শুরু করলে তার স্ত্রী জয়গুন বেগম স্বামীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় তাকেও মারধর করে তাড়িয়ে দেন ছলেমান। এক পর্যায়ে মালেক হাওলাদার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছলেমান তাকে মাঠের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যান। ছলেমান চলে যাওয়ার পর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
আহত মালেক হাওলাদার বলেন, ছলেমান সন্ত্রাসী লোক। আমার মুগডাল চাষ করা জমি দখল করে আইল বানায়। আমি বাধা দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারে। আমি এর বিচার চাই।
স্ত্রী জয়গুন বেগম বলেন, আমার স্বামীকে ছলেমানের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মেরেছে। গ্রামের মানুষ গিয়ে আমার স্বামীকে বাঁচায়। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত ছলেমান হাওলাদার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মোর জমি দখল করে চাচায় ডাউল ফেলেছে। আমি জমি দখলে নিতে আইল বানিয়েছি।
আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাঙ্ক্ষিত মণ্ডল তৃণা বলেন, মালেক হাওলাদারের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।