ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুরির অপবাদে দুই শিশুকে নির্যাতন, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

চুরির অপবাদে দুই শিশুকে নির্যাতন, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪:১৯ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪:২২

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গরু চুরির অভিযোগে দরিদ্র দুই শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুনারুঘাট  উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামের মো: মনফর উল্ল্যার স্ত্রী মোছা: মমিনা খাতুন (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র আব্দুর রউফ (৩৫)। মমিনা খাতুন ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার। তাদেরকে দুজনকেই শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানার উপপরিদর্শক লিটন রায় ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পৃথক অভিযানে ইউপি সদস্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুদের নানি আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মমিনা খাতুন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। 

নির্যাতনের শিকার শিশুরা হলো মৃত কন্টু মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম (১০) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে তোফাজ্জল (৮)।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামে নুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জলের মা তাসলিমা। বাবা ভিন্ন হলেও তারা সহোদর। তারা নানির বাড়িতে থাকে। নানি এলাকার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে  সংসার চালান। তাদের মা প্রায় দুই সপ্তাহ পূর্বে সৌদি আরব চলে যান জীবিকার তাগিদে। 

৪ মার্চ বিকেলে কালিশিরি গ্রামের জোবায়ের নামের এক যুবক শিশু নুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জলকে মাঠ থেকে গরু চুরির অভিযোগে ধরে এনে বাড়ির একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সময় ঘনশ্যামপুর গ্রামের সাজল মিয়া, বনগাঁও গ্রামের আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য মমিনা খাতুন সহ ৭/৮ জন লোক  ওই দুই শিশুকে মারধর করেন। 
অভিযুক্ত সংরক্ষিত আসনের  ইউপি সদস্য মমিনা খাতুন এবং আব্দুর রউফ শিশুদের মারধরের কথা স্বীকার করেন। 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত  ৪ মার্চ  আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামে। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদেরকে কেউ জানায়নি।  শিশু নির্যাতনের এ ঘটনা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে  প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের নজরে আসে।  আমরা তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে দুজনকে আটক করি। 

স্থানীয় মেম্বার শেখ আ. ছত্তার দুঃখ প্রকাশ করে জানান, শিশুরা অপরাধ করলে শিশু আইন ছিল কিন্তু শিশুদেরকে চোর আখ্যা দিয়ে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি।

আরও পড়ুন

×