রমজানের শুরুতেই যানজট, ভোগান্তি

রমজানের শুরুতেই হবিগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) ও মিশুকের অবাধ চলাচলের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 
চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে শহরের টমটম ও মিশুক নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। যদিও হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্পটে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চৌধুরী বাজার পয়েন্ট, নতুন বাসস্ট্যান্ড মোড়, শায়েস্তানগর পয়েন্ট, বেবিস্ট্যান্ড পয়েন্ট, থানার মোড়, ঘাটিয়া বাজার, তিনকোনা পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে টমটম ও মিশুক। সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। যে কারণে প্রতিটি পয়েন্টে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। এ ছাড়াও অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ চালকদের কারণে যানজটের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় যানজট এড়াতে প্রায় ১ হাজার ২০০ টমটমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়। এসব টমটমে নম্বর প্লেট দেওয়া হয়। তবে শহরে বর্তমানে টমটম চলছে তিন গুণেরও বেশি, যা যানজটের অন্যতম কারণ। এর মধ্যে যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় শহরের চৌধুরী বাজার এলাকার বাসিন্দাদের। এ পয়েন্ট দিয়ে হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মানুষ। এ ছাড়াও ওই পয়েন্টে অবস্থিত শহরের সবচেয়ে বড় সবজির বাজার। শুধু শহরের প্রধান সড়কই নয়, বাইপাস সড়কেরও একই অবস্থা।
স্কুলশিক্ষার্থী দোহা আক্তার জানান, এমনিতেই ছোট একটা শহর হবিগঞ্জ। এ শহরের রাস্তাঘাটও ছোট ছোট। এর মাঝে আবার মাত্রাতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মিশুক রয়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। স্কুলে যেতে আগে যেখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় হাতে থাকলেই হতো, এখন সেখানে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যয় হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ জানান, চৌধুরী বাজার থেকে এক গাড়ি পণ্য আনতে আগে যেখানে ৫ মিনিট লাগত, এখন আধা ঘণ্টায়ও হয় না।
ফয়সল মিয়া জানান, হবিগঞ্জ শহর এখন টমটমের নগরী। রাস্তাঘাট ও পাড়া-মহল্লার ভেতরেও এখন শুধু টমটম আর টমটম। মাত্রাতিরিক্ত টমটমই যানজট সৃষ্টি করছে। 
পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম জানান, অবৈধ টমটম নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক। মেয়র বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে শহরের যানজট নিরসন করা হবে।