ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

ইউএনওর নির্দেশে ভাঙা হলো বরাদ্দকৃত ঘরের তালা

ইউএনওর নির্দেশে ভাঙা হলো বরাদ্দকৃত ঘরের তালা

রানীনগরের পলাশ কোয়ার্টার সমকাল

 নওগাঁ সংবাদদাতা ও রানীনগর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪ | ২২:৫১

রানীনগরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ দুলুর বরাদ্দকৃত ঘরের তালা ভেঙে সেখানে অন্য একজনকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুম। ইউএনওর এমন কর্মকাণ্ডে পরিষদ ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি থেকে জানা গেছে, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিয়া মার্জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দ কমিটি রানীনগর উপজেলা পরিষদের পলাশ ভবনের দ্বিতীয় তলার ৩ নম্বর ইউনিট বরাদ্দ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজিয়া মার্জিয়াকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ দুলু ওই বাসায় ওঠার অনুমতি দেন। এদিকে একই বাসা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য গত ১৩ মার্চ আবেদন করেন উপজেলা পরিষদের অন্য বাসায় বসবাসকারী তথ্যসেবা অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা জেবুন নেসা। জেবুন নেসার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও উম্মে তাবাসসুম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা বাসা বরাদ্দ কমিটির সঙ্গে আলাপ না করেই ওই বাসার তালা ভেঙে জেবুন নেসাকে সেখানে ওঠার অনুমতি দেন। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেননি উম্মে তাবাসসুম।
উপজেলা সদরে বসবাসকারী রাব্বী নামে একজন জানান, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি বাসায় বছরের পর বছর ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ না করে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বসবাস করে আসছেন, তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ 
না নিয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বরাদ্দকৃত বাসার তালা ভেঙে অন্যকে তুলে দিয়েছেন। এটি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে অন্যায় করেছেন ইউএনও।
জেবুন নেসা জানান, আবেদন করার কারণে ইউএনও তাঁকে পলাশ ভবনে ওঠার কথা বলেছেন। তাই সেখানে মালপত্র রেখেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও উম্মে তাবাসসুম মোবাইল ফোনে জানান, তিনি জেবুন নেসাকে ওই বাসায় তালা ভেঙে উঠতে বলেননি।
চেয়ারম্যান আবদুর রউফ দুলু মন্তব্য করেন, ইউএনওর এমন কর্মকাণ্ডে তিনি ব্যথিত। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসাটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল একজন কর্মকর্তাকে। সেই বাসা ইউএনও আবার কীভাবে নতুন করে অন্য একজনকে বরাদ্দ দিলেন। সেটি করার আগে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজন মনে করেননি।

আরও পড়ুন

×