ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

পৃথক সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

পৃথক সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক

হবিগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় মালপত্র ভাঙচুর, বন্ধ রয়েছে বাজারের দোকানপাট সমকাল

 হবিগঞ্জ ও ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪ | ২১:৪১

হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পৃথক দুই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এবং নারীসহ দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

হবিগঞ্জ শহরতলির ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় দু’পক্ষে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় মাস্টারবাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্যারম খেলার সময় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সাত পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও  চার রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় ক্যারম খেলায় বসে মাস্টারবাড়ির আলমগীর, সেলিম ও মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাকালে একটি পক্ষের লোকজনের সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ও মুখে লাগা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ায় দু’পক্ষ। এক পর্যায়ে মাস্টারবাড়ির আলমগীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার, আব্দুল শহিদ, জাবেদ মিয়া, আল মামুন, নাজিমুদ্দিন, সফিক মিয়া ও এসআই আবু জাবেরসহ অন্যদের হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, ক্যারম খেলার সময় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছে।  পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সরস্বতীপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পূর্বশত্রুতা ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সরস্বতীপুর গ্রামের গোলাম মৌলা ও আজাদ মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে গোলাম মৌলার পক্ষের আহতদের ধর্মপাশা ও আজাদ মিয়ার লোকজনকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রাত ১০টার দিকে গোলাম মৌলা, হাবিবুর মিয়া, মন্নান, আমির হোসেন, জইন উদ্দিন, আলী রহমান, আতাবুর, আল আমিন, শাহীন, খসরুলসহ গুরুতর আহত ১৩ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সরস্বতীপুর গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে উভয় পক্ষের যৌথ মালিকানাধীন ৪৯ একর জমি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সেখান থেকে গোলাম মৌলা ও তার লোকজন ১১ একর জমি গোপনে রেকর্ড করিয়ে ভোগ দখল করছে। এ নিয়ে গোলাম মৌলার লোকজনের সঙ্গে আজাদ মিয়ার লোকজনের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে। যার জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে  উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

আরও পড়ুন

×