পাটুলিয়া-দৌলতদিয়া ও কাজীরহাট নৌ-রুটে ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার রাত আড়াইটা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। প্রায় ৫ ঘণ্টা বন্ধের পর এই দুই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

এ সময় পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সারি পাটুরিয়া ঘাট থেকে নবগ্রাম পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা বিস্তৃত হয়ে পড়ে। ঘাট এলাকায় এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষজনকে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ দুই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ দুই নৌ-রুটে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হয়।

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী দিগন্ত পরিবহনের চালক ফরিদ শেখ বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে গাবতলী থেকে বাস ছেড়ে রাত আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ঘন কুয়াশার কারণে আটকা পড়েছি।

বাসটির যাত্রী আলাল শেখ বলেন, ফেরি বন্ধ রাত আড়াইটা থেকে। ঘাটে পারাপারের জন্য অপেক্ষায় আছি। তীব্র ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের এজিএম আব্দুল সালাম রহমান সমকালকে বলেন, রাত আড়াইটা থেকে ঘন কুয়াশায় নৌ-পথ দেখা না গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৭টার পর ঘন কুয়াশা কমতে থাকলে এ দুই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।