নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বোরবার খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

মৃতরা হলেন- বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা ও হামিদপুর ইউপির গ্রাম পুলিশ লাবু শেখ (২৮) ও জোকারচর গ্রামের খানজে শেখ (৪৫)।

এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুই জন। তারা হলেন- নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া নাজমার ছোট ভাই রয়েল শেখ ও ভগ্নিপতি মাহামুদ হোসেন।   

এদিকে, খেয়ানৌকা ডুবিতে মারা যাওয়া গৃহবধূ নাজমা বেগম (২৬) ও  তার শিশু সন্তান নাসিম হোসেনের (২) দাফন শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাবুপুর গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, গৃহবধূ নাজমার দাদি আবেজান নেছার দাফন সম্পন্ন হয়েছে একই দিন বিকাল ৫ টায়  চরবাহিরডাঙ্গা গ্রামে।

উপজেলার বড়দিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস আই মো. লোকমান হোসেন বলেছেন, উদ্ধার হওয়া লাশ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কালিয়ার ইউএনও মোসা. আফরিন জাহান বলেছেন, উদ্ধার হওয়া দুইজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত নাজমা বেগম, তার সন্তান এবং দাদির দাফন গত শনিবার বিকালে ও সন্ধ্যায় সম্পন্ন করা হয়েছে। নদীতে নিখোঁজ আরও দুইজনের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. মাহাবুব আলম বলেছেন, সূর্যাস্ত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুইজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। প্রয়োজনে উদ্ধার অভিযানের সময়সীমা বাড়ানো হবে।

গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নাজমার দাদি আবেজান নেছা (৯০) বাহিরডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে মারা যান। দাদির মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী ও সন্তানসহ ১৪ জন আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে শুক্রবার রাত ৮ টারদিকে নাজমা বাবুপুর গ্রাম থেকে খেয়া নৌকায় চড়ে বাবার বাড়ি চরবাহিরডাঙ্গা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীরে চাপে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায় এবং ঘটনাস্থলেই নাজমা ও তার শিশু সন্তান নাসিম হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় নৌকার মাঝিসহ ১৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৯ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও নদীগর্ভে নিখোঁজ হন ৪ জন। রোববার সকালে ডুবুরিরা দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি শুরু করলে প্রথমে খেয়ানৌকাটি উদ্ধারের পর দুপুরের দিকে  দুই জনের লাশ উদ্ধার করে।