সংস্কার শেষে উন্মুক্ত হলো লালদিঘি ময়দান

চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দান সংস্কার শেষে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সংস্কারের পর প্রায় দুই বছর টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল মাঠটি। সংস্কার করা এ ময়দানে স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি থাকলেও কোনো ধরনের জনসভা হবে না।

সোমবার দুপুরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল লালদিঘি ময়দান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম হাইস্কুলের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামরুল আখতারসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, করোনার সময় সবকিছু বন্ধ রাখার সুবাদে এ ময়দানের সংস্কার করা হয়। এখন মুসলিম হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার শিশুদের খেলাধুলার জন্য মাঠটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। চারদিকে তৈরি করা ওয়াকওয়েতে বয়স্করা হাঁটাচলা করতে পারবেন। ময়দানটির রক্ষণাবেক্ষণ মুসলিম হাইস্কুল করলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি থাকবে। কেউ এ মাঠে অনুষ্ঠান করতে চাইলে এ কমিটির অনুমতি নিতে হবে। তবে মাঠে কোনো ধরনের জনসভা করার সুযোগ থাকবে না।

দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে লালদিঘি মাঠ নতুনরূপে সাজায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় সংলগ্ন মাঠের সীমানা দেওয়ালের একাংশ ধসে গিয়ে কয়েকটি ম্যুরাল ভেঙে যায়। ফাটল দেখা দেয় দেওয়ালের আরেকটি অংশে। পুনঃসংস্কারের পর চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শেষ হয় উন্নয়ন কাজ। মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ২০ ফুট প্রস্থের দুটি গেট ও একটি ভিআইপি গেট রয়েছে। এক হাজার ২৫০ বর্গফুটের দেওয়ালে ১৮টি টেরাকোটার ম্যুরালে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণঅভ্যুত্থান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির গৌরবের ইতিহাস স্থান পেয়েছে।