সাভারের আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে আশুলিয়া থানা পুলিশ আসামি আবদুল কাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া কাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার দেওয়া তথ্যে লাশ উদ্ধার হয়। পরদিন রাতে র‌্যাব কাদেরকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। শিশুটির বাবা জসি নূর রহমান তাকে প্রধান আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আসামি কাদের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ পুনর্বাসন গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে।

শিশুটির বাবার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। মা-বাবার সঙ্গে আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত সে। একই বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করত কাদের।

পুলিশ বলেছে, সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তাদের ধারণা, হত্যার আগে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। লাশ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশুটি। এ সময় চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে কাদের। শুধু তাই নয়, মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে সে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এর পর লাশ ব্যাগে ভরে ট্যাঙ্কের ভেতরে ফেলে দেয়।

শিশুটির বাবা জানান, বুধবার নিখোঁজ হওয়ার পর মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। পরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ১৫ হাজার টাকাও দেন। সেই সূত্র ধরেই প্রতিবেশী কাদেরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া কাদেরের ঘরে খাটের নিচ থেকে লাশ লুকিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহূত ট্রলিব্যাগ ও বাড়ির টিনের চাল থেকে শিশুর জামা ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে আসামি। ঘটনায় সে একাই জড়িত।