- সারাদেশ
- দুমকিতে বিয়ের দাবিতে তরুণীর আমরণ অনশন
দুমকিতে বিয়ের দাবিতে তরুণীর আমরণ অনশন

সোমবার সকাল থেকে অনশন শুরু করেন তিনি।
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে 'প্রেমিকের' বাড়িতে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন মোসা. মনি আক্তার (১৯) নামের এক তরুণী।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব জলিশা গ্রামে মো. রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির (২৬) বাড়িতে এ অনশন শুরু করেন তিনি। সারাদিন তিনি কিছুই খাননি। বিয়ে না করলে রাব্বির বাড়ি থেকে তাঁর লাশ যাবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমিকা মনি আক্তারের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিপপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. সোহরাব হোসেনের বড় মেয়ে এবং বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি গত শনিবার বিকেলে পূর্ব জলিশা গ্রামের মৃত মো. ইউনুস হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির বাড়িতে ওঠেন এবং বিয়ের জন্য রাব্বির পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন।
এদিকে রিয়াজুল ইসলাম রাব্বি গা ঢাকা দিয়েছেন এবং তাঁর (রাব্বি) পরিবার মনি আক্তারকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে রাজি নয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিষয়টির সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও মনি আক্তারের পরিবারের কেউ না আসায় উদ্যোগ সফল হয়নি।
মনি আক্তার বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর আমরা ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করি এবং আমাকে বিয়ে করার কথা বলে শারীরিক সম্পর্কও করে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা করে বিয়ের দিন-তারিখও ঠিক করা হয়। কিন্তু পরে রাব্বি আমাকে বিয়ে করতে রাজি নয় বলে জানায়। গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাই তার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করি।
এ ব্যাপারে রাব্বির মা মোসা. তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজকাল একটা ছেলে-মেয়ের মধ্যে কথাবার্তা হতেই পারে, তাতে কি বিয়ে করতে হবে? আর এ বিষয় আমি কিছুই জানি না। যা বলার আমার ছেলেই বলবে’।
আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর জানান, ওই মেয়ের (মনি আক্তার) অভিভাবকদের আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউই আসেননি। তাই বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা এলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে দুমকি থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম জানান, এ বিষয় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাছাড়া বিষয়টি ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম সম্পর্কীয় ঘটনা। পুলিশ কাউকে বিয়ে দিতেও পারবে না, বিয়েতে বাধাও দিতে পারবে না।
মন্তব্য করুন