- সারাদেশ
- সাংবাদিক আশিক হত্যায় গ্রেপ্তার ২, আদালতে দায় স্বীকার
সাংবাদিক আশিক হত্যায় গ্রেপ্তার ২, আদালতে দায় স্বীকার

সাংবাদিক আশিকুর রহমান আশিক- আগের ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক আশিকুর রহমান আশিক হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় আশিক হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. রায়হান মিয়া (২১) এবং পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের আব্দুল হামিদের ছেলে সাফিন আহমেদ জুনায়েদ (২১)। তারা মঙ্গলবার হত্যার কথা স্বীকার করে বিচারিক হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জেরে সোমবার বিকেলে শহরের অবকাশ পার্কের সামনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আশিক। এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক আশিকের বাবা প্রবাসী আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সোমবার রাতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর তদন্ত কর্মকর্তা দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন জানান। পরে মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্টের আফরিন আহমেদ হেপির আদালতে দুই যুবক আশিক হত্যার দায় স্বীকার করে জবাননবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, ১০-১২ দিন পূর্বে শহরের কাউতলী এলাকার কম্ফোর্ট হাসপাতালে বাতিঘর সংগঠন থেকে এক মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়া নিয়ে সাংবাদিক আশিক ও রায়হানের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে সোমবার শহরের ফারুকী পার্কে বাতিঘর সংগঠনের একটি মাসিক সভা শেষ করে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে পার্ক থেকে ফেরার পথে ইজিবাইকে ওঠার সময় রায়হান ও সাফিনসহ আরও ৩-৪ জন অটোরিকশা ঘেরাও করে আশিকের বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় সংগঠনের সদস্যরা আশিককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সমকালকে জানান, আশিকের মৃত্যুর এক ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের মূলেহোতা রায়হান ও তার কিছুক্ষণ পর আরেক আসামি সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে আটক করে পুলিশ। পরে সাংবাদিক আশিকের বাবা আশরাফ উদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রায়হানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে রায়হান ও সাফিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন