খুনের তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় চট্টগ্রামে ২৯ বছর পর ফটিকছড়ির নাজিরহাটের বাসিন্দা মফিজুর রহমান হত্যা মামলার দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের জজ মো. হালিম উল্ল্যাহ চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ফটিকছড়ির দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া ও ফটিকছড়ির ছিলোনিয়া এলাকার বাসিন্দা উদয়ন বড়ূয়া প্রকাশ। রায় ঘোষণার সময় ইদ্রিস আদালতে হাজির থাকলেও উদয়ন মামলা দায়ের করার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শাহেদ।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৪ মার্চ নাজিরহাট সংলগ্ন হালদা নদীর উপর থাকা ব্রিজের দক্ষিণ পাশে একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত লাশটি ফটিকছড়ির সুয়াবিল এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে ভিকটিম মফিজুর রহমানের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ছোট ভাইকে খুনের দায়ে হাটহাজারি থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ১৯৯৩ সালের ২ মার্চ নাজিরহাট বাজারে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি ভিকটিম মফিজুর। তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবুলের জামাতা ডিলাইয়ার মাধ্যমে ভাইয়ের খুনের খবর পান বাদী। ব্যবসায়ীক লেনদেনের বিরোধে ভাইকে খুন করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার পর ১৯৯৯ সালের ৪ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তার পর ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।