খুবির চারুকলা অনুষদের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী ষষ্ঠ বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শিল্পী শশিভূষণ পাল আর্ট গ্যালারিতে প্রদীপ প্রজ্বালন করে এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। পরে তিনি প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া শিল্পকর্মগুলো ঘুরে দেখেন।

এ সময় চারুকলা অনুষদভুক্ত ডিসিপ্লিনগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী। ৪ শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পাচ্ছে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে এ প্রদর্শনী।

অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে ৩৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে শিল্পকর্মের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় চারুকলা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, শুধুমাত্র শিক্ষা-গবেষণায় নয়, শিল্প চর্চায়ও জেগে উঠেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়ে যেতে চারুকলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে নানা ধরনের স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাচ্ছে, যা আমাদের জন্য আনন্দ ও গর্বের বিষয়। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আরও উচ্চতর গবেষণার প্রয়োজন। এজন্য তাদের আরও বেশি আগ্রহী হতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ গবেষণা অনুদানের ব্যবস্থা করবে।

ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, শিল্পী শশিভূষণ পাল প্রতিষ্ঠিত খুলনা আর্ট কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একীভূত করে ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে অনুষদে রূপ দেওয়ায় উপাচার্য তৎকালীন কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে চারুকলার জন্য পৃথক ভবনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নিহার রঞ্জন সিংহ। বক্তব্য দেন ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রধান মো. আমিনুল ইসলাম, ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন প্রধান রকিব হাসান, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. শেখ সাদী ভূঁইয়া। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের দেওয়ান স্বীকৃতি রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক ফারজানা জামান।