- সারাদেশ
- কালভার্ট নির্মাণের দশক পরও হয়নি সড়ক
কালভার্ট নির্মাণের দশক পরও হয়নি সড়ক

কালিয়াকৈরের বকসীবাড়ি-চন্দ্রা সড়কের সানাইদাপাড়ায় সাঁকো দিয়ে যাচ্ছেন পথচারীরা -সমকাল
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বকসীবাড়ি-চন্দ্রা সড়কের সানাইদাপাড়া এলাকার খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। এর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও দু'পাশের সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে সাঁকো দিয়ে উঠে কালভার্ট পাড়ি দিতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাঁরা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে সানাইদাপাড়া। সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে সেখানকার খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮১৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় সেটি। তবে সংযোগ সড়কের অভাবে সাধারণ মানুষের কাজে না এসে কালভার্টটি উল্টো দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ বকসীবাড়ি-চন্দ্রা সড়ক। পথচারী সানোয়ার, জাবেদ, বিলকিস বলেন, দশ বছর পার হয়ে গেলেও দুই পাশে মাটি ফেলা হয়নি। রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা মাটি ভরাটের আশ্বাস দেন। তবে নির্বাচিত হয়ে গেলে আর খোঁজ নেন না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এখান দিয়ে কোনো যানবাহন নিয়েই চলাচল করা যায় না। দু'পাশে থাকা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওঠানামা করতে হয়। প্রায়ই সেখান থেকে পড়ে দুর্ঘটনার ঘটছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের পারাপারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কয়েক বছর আগে বন্যার তোড়ে কালভার্টের পাশের মাটিও অনেকটা সরে গেছে। ফলে এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই কালভার্টের দু'পাশে মাটি নেই। নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে কালিয়াকৈর প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিপ্লব দাসের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় কল দেওয়া হয়। তবে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈরের ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগিরই কালভার্টটির দু'পাশে মাটি ভরাট করা হবে।
মন্তব্য করুন