- সারাদেশ
- আগের নিয়মেই ডায়ালাইসিস সেবা পাবেন চমেক হাসপাতালের রোগীরা
আগের নিয়মেই ডায়ালাইসিস সেবা পাবেন চমেক হাসপাতালের রোগীরা

ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে এসে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের হামলা, মামলা ও এক রোগীর স্বজনকে গ্রেপ্তারের পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা। রোগী ও তাদের স্বজনদের টানা আন্দোলন ও বিক্ষোভের পর সরকারি ভর্তুকি সুবিধায় প্রদত্ত সেশন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তারা। এর প্রেক্ষিতে চমেক হাসপাতালের নিচ তলায় থাকা স্যানডরের ডায়ালাইসিস সেন্টারে আগের নিয়মেই ডায়ালাইসিস সুবিধা নিতে পারবেন রোগীরা। সোমবার থেকে আগের নিয়মেই ভর্তুকি পাচ্ছেন রোগীরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশের পর সরকারি ভর্তুকি সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আপাতত স্যানডরের ডায়ালাইসিসে ভর্তুকি আগের মতোই থাকছে। আগের নিয়মে ডায়ালাইসিস সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা স্যান্ডরকে বলে দিয়েছি। তাছাড়া হাসপাতালে নতুন আরও চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে এসব মেশিনের মাধ্যমেও রোগীরা বাড়তি সেবা নিতে পারছেন। নতুন আরও ১০টি মেশিন দ্রম্নত সময়ের মধ্যে বসবে বলে।’
তবে আপাতত সরকারি ভর্তুকি আগের নিয়মে বহাল থাকলেও নতুন বছর থেকে স্যানডরের বাড়ানো ৫ শতাংশ হারে ফি কমানো হয়নি। গত ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর করা হয়। স্যানডরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, সরকারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক নতুন বছর থেকে ৫ শতাংশ হারে ফি বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছে। ৫ শতাংশ হিসেবে ভর্তুকির সেশন আগের ৫১০ টাকার স্থলে বেড়ে ৫৩৫ টাকা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেড়েছে ২৫ টাকা। আর বেসরকারি সেশনে আগে ২৭৯০ টাকার স্থলে বেড়ে এখন ২৯৩০ টাকা হয়েছে। রোগীরা বাড়তি এ টাকার জন্য আন্দোলন করছেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে না। তারা সরকারি ভর্তুকি সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। কারণ, সরকারি ভর্তুকির সুবিধা কমালে রোগীদের ডায়ালাইসিস খরচ বেড়ে যাবে।
ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধি ও ভর্তুকি সুবিধা কমানোর প্রতিবাদে গত ৭ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভ শুরম্ন করেন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কিডনি রোগী ও স্বজনরা। দাবি আদায়ে গত ১০ জানুয়ারি হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় রোগী ও স্বজনদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। একপর্যায়ে তাদের ওপর হামলাও চালানো হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে দুটি কিডনিই নষ্ট থাকা নাসরিন আক্তার নামের এক রোগীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে মো. মোস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই পুলিশ মামলা দায়ের করে। চিকিৎসা সেবা নিতে এসে পুলিশের হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। চারদিন জেল হাজতে থাকার পর গত রোববার গ্রেপ্তার ওই যুবককে জামিন দেয় আদালত।
মন্তব্য করুন