- সারাদেশ
- গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে থাকতেন মাজারে, অবশেষে ধরা
গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে থাকতেন মাজারে, অবশেষে ধরা

কয়েকটি মাদক মামলার আসামি রউফকে শুক্রবার রাতে তিশিখালি মাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডানের ছবিটি তার আত্মগোপনে যাওয়ার আগে তোলা
কয়েকটি মাদক মামলার আসামি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রউফ (৪২) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে ও গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে মাজারে মাজারে ঘুরতেন, থাকতেনও মাজারে। অবশেষে শুক্রবার রাতে তাকে নন্দীগ্রামের পাশ্ববর্তী সিংড়ার চলনবিলের তিশিখালি মাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাজারেও তিনি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আব্দুর রউফ নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সোনাপুকুর এলাকার প্রয়াত আতাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের মে মাসে নন্দীগ্রাম পৌর সদরের কলেজপাড়া এলাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন রউফ। জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে ২০১৬ সালের নভেম্বরে নিজ বাড়ি থেকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন তিনি, তবে আবারও জামিনে বেরিয়ে যান। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে রণবাঘা বাজার থেকে গাঁজাসহ ফের গ্রেপ্তার হন রউফ। এ দফায়ও জামিনে বের হয়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাগুলো বিচারাধীন। সম্প্রতি আব্দুর রউফকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে, রউফ চলনবিলের তিশিখালি মাজারে অবস্থান করছেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদক মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে রউফ ছদ্মবেশে মাজারে মাজারে ঘুরতেন এবং মাজারেই থাকতেন। মাজারে থেকেও তিনি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে ২০২০ সালে আত্মগোপনে যান আব্দুর রউফ। তখন তার হালকা গোঁফ ছিল। আত্মগোপনে থাকার সময় বেশভূষা বদলের পাশাপাশি চুল ও দাড়ি-গোঁফ বড় করে চেহারায়ও পরিবর্তন আনেন রউফ।
মন্তব্য করুন