- সারাদেশ
- গোবিন্দগঞ্জে তিনজনের যোগসাজশে অটোরিকশাচালক কনককে হত্যা
গোবিন্দগঞ্জে তিনজনের যোগসাজশে অটোরিকশাচালক কনককে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চাঞ্চল্যকর কনক প্রামানিককে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। তিন জনের যোগসাজশে কনককে হত্যার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়। ১৮ ঘন্টার সাঁড়াশি অভিযান শেষে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত কনক প্রামানিক (১৯) উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহত কনকের বন্ধু উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে হেলাল মিয়া (২২) ও তার ছোট ভাই দেলাল মিয়া (২০) এবং নিহত কনকের ছোট ভাই কবিরুল ইসলামের বন্ধু ক্রোড়গাছা গ্রামের ফেরদৌস মণ্ডলের ছেলে সৌরভ মণ্ডল (২০)।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে এক প্রেস নোটের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন।
প্রেস নোটে বলা হয়, নিখোঁজের ৬দিন পর ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকার সিংড়া পুকুর থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি কনকের বলে শনাক্ত করে।
নিহত কনকের বড়ভাই জাকিরুল ইসলাম জানান, তার ছোট ভাই কনক প্রামানিক এবার এসএসসি পাশ করেছে। পড়াশুনার পাশাপাশি অভাবের সংসারে জীবিকার তাগিদে গত প্রায় দেড় মাস আগে কিস্তিতে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনে কনক। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বন্ধুরা তাকে গোবিন্দগঞ্জ বন্দরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি কনক। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে থানায় জিডিও করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকার সিংড়া পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় কনক প্রামানিকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে মারপিটসহ গলাটিপে শ্বাসরোধ হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় চাকু ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন