গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে স্বামী-স্ত্রীসহ ১৪ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সোমবার পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য সম্ভব্য প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন খান এবং তার স্ত্রী উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সাবানাসহ আরও ১২ জন মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য তাদের জীবনবৃত্তান্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরক কাছে জমা দেন। তবে তফসিল ঘোষণার পরও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি আওয়ামী ছাড়া অন্য কোনো দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনও চোখে পড়েনি। 

রুহুল আমিন খান ও সাবানা

এছাড়া বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র এস এম মিজানুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মো. আলীউজ্জামান শেখ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নার্গিস সুলতানা, ব্যবসায়ী কমল সেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যে সকল প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন সেগুলো জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা এগুলো কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠাবে। কেন্দ্র যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে। আর যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সকলে মিলে তার নির্বাচন করবো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন খান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি ও আমার স্ত্রী আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। আর এ কারণেই আমরা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। আমরা ছাড়া আরও ১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলের কাছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে।

উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ মার্চ ইভিএমের মাধ্যমে এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।