- সারাদেশ
- অপরাধ ঢাকতে ডাকাত বলে চিৎকার, পুলিশসহ ৪ যুবককে গণপিটুনি!
অপরাধ ঢাকতে ডাকাত বলে চিৎকার, পুলিশসহ ৪ যুবককে গণপিটুনি!

প্রতীকী ছবি
সিলেট নগরীর মিরাবাজারের আগপাড়া এলাকার একটি বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। কিছু যুবক বাসায় হানা দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করলে তারা ডাকাত বলে চিৎকার করেন। এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মৌসুমী আবাসিক এলাকার ৮৫/বি নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আটকৃতরা হলেন- সিলেট সদরের বাদাঘাট এলাকার রাবেয়া বেগম, তার ছেলে মুন্না আহমদ, ওসমানীনগরের কাশিকাপন গ্রামের মাসুদ আহমদ তালুকদার, জৈন্তাপুরের ফেরিঘাট গ্রামের সুলতানা বেগম ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বেপারিবাড়ি গ্রামের প্রিয়া মনি।
স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস আগে প্রবাসী দুদু মিয়ার ওই বাসার চতুর্থ তলা ভাড়া নেন রাবেয়া বেগম। এর পর থেকে বাসায় নারী-পুরুষের আনাগোনা দেখা যায়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ৫-৬ জন যুবক বাসায় প্রবেশ করেন। ভেতরে তাদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুলতানা বেগমসহ বাসার লোকজন 'ডাকাত ডাকাত' বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৪-৫ জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এর মধ্যে সাগর নামে শিল্পাঞ্চল পুলিশের এক সদস্য রয়েছেন। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসায় অসামাজিক কাজ করা হত। মঙ্গলবার রাতেও কয়েক যুবক সেই কাজের জন্য এসেছিল। তারা হয়তো রাবেয়া বেগমের পূর্ব পরিচিত। রাবেয়ার কাছ থেকে চাঁদা নিতে কিংবা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে তারা এসেছিলেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে ডাকাতির নাটক সাজিয়ে এলাকার লোকজন জড়ো করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক আবুল কাহের সমকালকে বলেন, রাবেয়া বেগমকে প্রধান আসামি করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দিয়ে আজ বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন