বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই-বাংলা হলের একটি কক্ষে ঢুকে ছাত্রলীগের নেতাকে কুপিয়ে জখম ও তাঁর দুই অনুসারীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে ছাত্রলীগের আহত নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাতের অনুসারী একটি পক্ষ। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মশাল মিছিলের আগে সমাবেশ করেন তাঁরা। এতে বক্তারা বলেন, এভাবে হলে ঢুকে ছাত্রলীগের একজন নেতাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন। এটা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে পরে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ঘুরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে শেষ হয়। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন শরিফুল ইসলাম, তাহমিদ আহমেদ, মো. সোহাগ, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, হল প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হেলমেট ও মুখোশ পরে হলের ভেতরে ঢুকে মহিউদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। 

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে নগরের বন্দর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজন হলেন আলীম সালেহী, রিয়াজ উদ্দীন মোল্লা, শামীম সিকদার ও শেখ রেফাত মাহমুদ। 

গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একটি কক্ষে ঢুকে ছাত্রলীগের নেতা মহিউদ্দীন আহমেদকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হেলমেট ও মুখোশ পরা দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই কক্ষে থাকা তাঁর দুই অনুসারীকেও মারধর করা হয়। তাঁদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।