ময়মনসিংহে জমিসংক্রান্ত সালিশে হাতাহাতির জেরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর বাউন্ডারি রোডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু'জনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জানা গেছে, জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এক পক্ষ শরণাপন্ন হয় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠানের এবং অপরপক্ষ শরণাপন্ন হয় মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহেমদ অনির। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্কের গ্রীন পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট সালিশের আয়োজন করা হয়। জমির বিরোধটি নিষ্পত্তির আলোচনাটি সমাধানের জন্য আইনজীবী রেখে আগামী শনিবার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে সেখানে বেফাঁস কথা বলাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনির এক সমর্থক মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠানের সমর্থক জয়কে মারধর করে। এ নিয়ে উত্তেজনায় সালিশ ছেড়ে দু'পক্ষ চলে যায়। পরে রাসেল পাঠানের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে নগরীর বাউন্ডারি রোড এলাকায় অনির চেম্বারে হামলা করে। ওই সময় দু'পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ওই সময় কয়েকদফা বিস্ফোরণের বিকট শব্দও স্থানীয়রা শুনতে পায় বলে জানা গেছে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানও। রাত ৮টা থেকে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। ওই সময় ছাত্রলীগের অনি গ্রুপের শাকিল আহমেদ (২৫) ও রিমন মিয়া (২০) আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহেমদ অনি বলেন, সালিশে বিএনপি নেতাদের পক্ষ হয়ে রাসেল পাঠায় গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় সালিশে থাকা লোকজন প্রতিবাদ করে ও মারধর করে। পরে তার (রাসেলের) বাসায় হামলার চেষ্টা করে। ওই সময় ককটেল বিস্টেম্ফারণ ও গুলি করে রাসেল পাঠানের সমর্থকরা। কিন্তু তার কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তার বাসার গলিতে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে দু'জন আহত হলেও একজন তার কর্মী অপরজন পথচারী।

মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান বলেন, নগরীল ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সুমনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি সমাধানের জন্য বসেছিলেন। শেষ পর্যায়ে এসে তার লোককে মারধর করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে হামলার ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ফুলবাড়িয়ার একটি সালিশ টেনে এনে শহরে আয়োজন করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষ। বিস্ফোরণের শব্দ স্থানীয়রা শুনতে পেরেও সেগুলো গুলি না ককটেল তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।