- সারাদেশ
- পরিচয় পাল্টে পলাতক ছিলেন ১৭ বছর, চাকরি করেছেন গার্মেন্টে
শহীদুল হত্যা
পরিচয় পাল্টে পলাতক ছিলেন ১৭ বছর, চাকরি করেছেন গার্মেন্টে

র্যাবের হাতে আটক আবদুল কদ্দুস
২০০৬ সালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। টাকা ও প্রতিষ্ঠানের লোভে হত্যার পর দেহের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এরই মধ্যে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলার পর নিজের পরিচয় পাল্টে হত্যার পরিকল্পনাকারী ছিলেন আত্মগোপনে। অবশেষে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন তিনি।
আজ রোববার র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
র্যাব জানায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবদুল কদ্দুসকে (৪১) গাজীপুরের শ্রীপুরের বহেরার চালা এলাকা থেকে শনিবার বিকেলে আটক করা হয়। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাবনাপাড়া গ্রামের সামসুল হক বেপারির ছেলে। জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম পরিবর্তন করে মামুনুর হোসেন রাখেন। বাবার নাম রহম আলী। মামাতো ভাইয়ের নাম ধারণ করে শিক্ষা সনদ দিয়ে গার্মেন্টে চাকরিও করছিলেন তিনি।২০০৪ সালে ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে 'বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা' নামে একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন শহীদুল ইসলাম ও আবদুল কদ্দুস। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এক সময় তাঁদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে শহীদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার পূর্বে কদ্দুস টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকেন। পরিকল্পনামতো ২০০৬ সালের ২০ মে শাহীনের জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহীদুলকে মাইক্রোবাসে তোলেন কদ্দুস। পরে শহীদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আসামিরা।
এ ঘটনায় ২১ মে সাটুরিয়া থানার এসআই মো. আবদুল জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর আবদুল কদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
মন্তব্য করুন