বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়ালের বিরুদ্ধে চরবানিয়ারি ইউনিয়নের সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য কবিতা রানাকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কবিতা রানা। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চরবানিয়ারি ইউনিয়নে মোট ১৬৮টি ভিজিডি কার্ড এসেছে। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী মণ্ডল নিয়েছেন ৮৪টি। আর কবিতা রানার তিন ওয়ার্ডের জন্য দিয়েছেন মাত্র ছয়টি কার্ড। এর মধ্যে আবার দুটি কার্ড চেয়ারম্যান কেটে দিয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি পরিষদের নির্ধারিত সভায় চেয়ারম্যানের কাছে দুটি কার্ড বাতিলের কারণ জানতে চাওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী বড়াল ও তার স্বামী চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল কবিতার ওপর হামলা চালান। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল তাকে জুতাপেটা করেন।

ইউপি সদস্য কবিতা রানা আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল এর আগে তাকে অনৈতিক প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তিনি কার্ড দুটি কেটে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল দাবি করেন, 'আমি ইউপি সদস্য কবিতা রানাকে জুতাপেটা করিনি। আমি শুধু জুতা খুলে মারার কথা বলেছি। এ ছাড়া অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।'

স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপপরিচালক মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, চিতলমারী উপজেলা পরিদর্শনে গেলে এক নারী ইউপি সদস্য তাকে মৌখিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।