তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দুটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। মঙ্গলবার দুপুরে শেখ রাসেল হল ও জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের ফুড প্রসেসিং বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম ও ২০ ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাহিদ হাসানের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত। জাহিদ শেখ রাসেল আবাসিক হলে এবং সামিউল দিনাজপুর শহরের একটি ছাত্রাবাসে থাকেন। জানা গেছে, ২০২০ সালে জাহিদ হাসান ও তাঁর বান্ধবী হাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে জাহিদ অকৃতকার্য হলেও তাঁর বান্ধবী কৃতকার্য হন। পরে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে হাবিপ্রবিতে আসেন জাহিদ। সে সময় ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে জাহিদকে লাঞ্ছিত করেন।

২০২১ সালে হাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় আবার অংশ নিয়ে জাহিদ কৃতকার্য হন। গত সোমবার হাবিপ্রবির বাসস্ট্যান্ডের সামনে সামিউলের সঙ্গে দেখা হয় জাহিদের। এ সময় জাহিদ সামিউলকে উভয়ের মধ্যকার ২০২০ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেন। এতে দু'জনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হলে জাহিদ ও তাঁর সহপাঠীরা সামিউলকে মারধর করেন। পরে সামিউল বিষয়টি জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রদের এবং পরবর্তী সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন মফিজুল ইসলামকে জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিন তাঁর অফিস কক্ষে জাহিদ হাসানকে ডেকে পাঠান। এ সময় সামিউল ও জাহিদের পক্ষে-বিপক্ষে জিয়াউর রহমান হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা ডিনের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দুপুর ২টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয় দুই পক্ষ। প্রায় দুই ঘণ্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।