
ছবি: সমকাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আশুগঞ্জের সরকারি হাজী আবদুল জলিল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত একজন ভোটারও ভোট দেননি। এ বুথে ভোটার সংখ্যা ৫৪৩ জন। কেন্দ্রের পাঁচটি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৬। সকাল সোয়া ১০ টা পর্যন্ত পৌনে দুই ঘণ্টায় ৫৯ জন ভোট দিয়েছেন।
পোলিং কর্মকর্তারা জানান, চর সোনারামপুরের নারী বাসিন্দারা পাঁচ নম্বর বুথে ভোট দেবেন। চরটি দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন। তাই ভোট কম পড়ছে। তবে বাকি চারটি বুথেও ভোটের হার কম।
আশুগঞ্জের শ্রম কল্যাণ ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৮ জন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পাঁচটি বুথে ৪৫ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দেন। সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটের গোপন বুথে বহিরাগত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ এবং ইভিএমে টিপে দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে অনিয়ম দেখা যায়নি। তেমন কোনো অভিযোগও আসেনি।
প্রিজাডিং কর্মকর্কা রাফিউদ্দিন জানান, ভোটার কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন।
এই কেন্দ্রের পাঁচটি বুথের সবকয়টিতে উকিল আবদুস সাত্তারের কলা ছড়ি প্রতীকের এজেন্ট রয়েছে। লাঙ্গলের এজেন্ট রয়েছেন একটি বুথে। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের মোটর গাড়ি প্রতীকের দুইজন এজেন্ট রয়েছেন। জাকের পার্টির এজেন্ট দেখা যায়নি। রাফিউদ্দিন জানান, আটজন এসেছেন, সবাই কেন্দ্রে আছেন। কাউকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
যদিও আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুন নিসা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে মোটর গাড়ির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তিনি সমকালকে বলেছেন, আশা করেছিলাম ভোটের দিন আমার স্বামীকে ফেরত পাবো। এখনও স্বামীকে পাইনি, নির্বাচনের আর কী অর্থ আছে।
মন্তব্য করুন